‘‘পার্টিসিপেটরি ওয়ার্কশপ অন আরবান লিভিং ল্যাব’’ শীর্ষক এক কর্মশালা ২৫ জুন ২০২৫ বুধবার সকালে নগর ভবনের শহিদ আলতাফ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। জার্মান ভিত্তিক দাতা সংস্থা জিআইজেড-এর সহযোগিতায় ‘‘সকলের জন্য বাসযোগ্য এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক শহর (এলআইসিএ)’’ প্রকল্পের আওতায় আন্তর্জাতিক প্রকৃতি সংরণ ইউনিয়ন (আইইউসিএন)-বাংলাদেশ এ ওয়ার্কশপের আয়োজন করে। কেসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লস্কার তাজুল ইসলাম-এর সভাপতিত্বে কর্মশালায় কেসিসি, কেডিএ, ডিওই, বিএফডি, পার্টনার এনজিও, নগরীর ৯নং ওয়ার্ডের অধীন বাস্তুহারা কলোনীর বাসিন্দাসহ বিভিন্ন সরকারি বিভাগের প্রতিনিধিগণ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এ প্রকল্পে জার্মান ফেডারেল অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন মন্ত্রণালয় (বিএমজেড) এবং বাংলাদেশ সরকার অর্থায়ন করছে। অন্তর্ভুক্তিমূলক নগর পরিবেশ ব্যবস্থাপনা পরিষেবার জন্য উন্নত বিধান প্রণয়নের মাধ্যমে নগরবাসীর জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি করা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং জলবায়ু-সংবেদনশীল নগর পরিবেশ ব্যবস্থাপনার জন্য স্থানীয় সরকারগুলির সমতা জোরদার করা এ প্রকল্পের মূল লক্ষ্য। কর্মশালায় বাস্তুহারা কলোনীতে বিদ্যমান পুকুর সংস্কারপূর্বক ব্যবহার উপযোগী, পুকুরের পাড়ে ওয়াকওয়ে নির্মাণ, বৃক্ষরোপণ এবং অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য দলগত আলোচনার মাধ্যমে মতামত গ্রহণ করা হয়।
কর্মশালায় সভাপতির বক্তৃতায় কেসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন ও রিসাইকিং-এর মাধ্যমে খুলনাকে একটি পরিচ্ছন্ন নগরী হিসেবে গড়ে তোলা আমাদের লক্ষ্য। কেসিসি’র এ কাজে নগরবাসীর দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি মোকাবেলায় পরিবেশ ব্যবস্থাপনা উন্নয়নের কোন বিকল্প নেই। পরিবেশ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকেও সমাজের মূল ধারায় ফিরিয়ে আনতে হবে বলে মন্তব্য করেন।
কেসিসি’র চীফ প্লানিং অফিসার আবির উল জব্বার, কুয়েট-এর ইউআরপি বিভাগের প্রফেসর তুষার কান্তি রায়, কেসিসি’র আর্কিটেক্ট রেজবিনা খানম, কঞ্জারভেন্সী অফিসার মো: আনিসুর রহমান, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোল্লা মারুফ রশীদ, কেডিএ’র পরিকল্পনাবিদ মো: আবু সাঈদ, প্রকল্পের সিটি কো-অর্ডিনেটর সানজিদা ইয়াসমিন, কমিউনিটি কর্মী জায়য়াদ আহমেদ, এনজিও কর্মী জাহানারা বেগম প্রমুখ কর্মশালায় বক্তৃতা করেন ও উপস্থিত ছিলেন।