চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট—এই আট মাসে সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩ হাজার ৭৪১ জন। এর মধ্যে এক-তৃতীয়াংশের বেশি, অর্থাৎ ১ হাজার ২০২ জন মারা গেছেন মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) মাসিক দুর্ঘটনা প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানা গেছে।
বিআরটিএর তথ্য অনুযায়ী, এ সময়ে দেশে মোট ৩ হাজার ৯৪৩টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৪ হাজার ৫৯৮ জন। গত বছর সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল ৫ হাজার ৩৮০ জনের। যদিও চলতি বছরের আট মাসের পরিসংখ্যান এখনও পুরো বছরের চূড়ান্ত চিত্র নয়, তবু সংখ্যার ভয়াবহতা ইতিমধ্যেই উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষ করে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার সংখ্যা ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে এই যানটি সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বাহনে পরিণত হয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে মোটরসাইকেলের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে আর সেই সঙ্গে দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনাও।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. সামছুল হক গণমাধ্যমকে বলেন
দেশের সড়কে শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার জন্য বর্তমানে বড় হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে মোটরসাইকেল। পৃথিবীর অনেক দেশই ইতোমধ্যে মোটরসাইকেল ব্যবহার সীমিত করেছে। বাংলাদেশকেও সে পথে এগোতে হবে।
তিনি মনে করেন, সড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা ও নিরাপদ পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হলে নীতিনির্ধারকদের এখনই কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। তা না হলে দুর্ঘটনার হার নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন হবে।
বিশ্লেষকদের মতে, গণপরিবহনের মানোন্নয়ন, ট্রাফিক আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ এবং মোটরসাইকেল ব্যবহার ধীরে ধীরে সীমিত করার মাধ্যমেই সড়ক দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি কমানো সম্ভব।