চার মাস পর আবারও বেনাপোল দিয়ে ভারতীয় চাল আমদানি শুরু, কমতে পারে বাজারদর

দেশের বাজারে চালের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি রোধে সরকার বেসরকারি পর্যায়ে আমদানির অনুমতি দেওয়ার পর চার মাস পর আবারও ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে প্রথম দফায় ভারতীয় ৯টি ট্রাকে মোট ৩১৫ মেট্রিক টন চাল বেনাপোল স্থলবন্দরে প্রবেশ করে।

আমদানিকারকদের দাবি, চাল আমদানির ফলে বাজারে দাম কিছুটা কমে আসবে। তবে শুল্ক সুবিধা না থাকায় ব্যাপক পরিসরে আমদানির সম্ভাবনা সীমিত।

বেনাপোলের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স হাজী মূসা করিম অ্যান্ড সন্স-এর স্বত্বাধিকারী আব্দুস সামাদ জানান, গত মঙ্গলবার থেকে ভারতীয় ট্রাকগুলো চালবোঝাই অবস্থায় ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে অপেক্ষমাণ ছিল। বৃহস্পতিবার সেগুলো দেশে প্রবেশ করেছে। আরও চালবোঝাই ট্রাক প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। কাস্টমস ছাড়করণ প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।

তিনি বলেন, “খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে আমদানির আবেদন করি। আবেদনকাল ছিল গত ২৩ জুলাই থেকে ৭ আগস্ট পর্যন্ত। অনুমতি পাওয়ার পর এলসি খোলা হয়। সেই প্রক্রিয়ায় বৃহস্পতিবার চাল এসেছে। আগামী রবিবার থেকে আরও বড় পরিসরে আমদানি শুরু হবে বলে আশা করছি। এতে বাজারে চালের দাম কেজিতে ৫ থেকে ৭ টাকা পর্যন্ত কমে আসবে। ভালো মানের চিকন চাল ৬৭ থেকে ৭০ টাকায় এবং স্বর্ণা জাতের চাল ৫০ থেকে ৫২ টাকার মধ্যে পাওয়া যাবে।”

বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শামসুর রহমান বলেন, “চার মাস পর আবারও ভারতীয় চাল আমদানি শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবারই ৯ ট্রাকে ৩১৫ মেট্রিক টন চাল এসেছে। আরও চালবোঝাই ট্রাক পেট্রাপোল বন্দরে অপেক্ষমাণ রয়েছে।”

বেনাপোল উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী কর্মকর্তা শ্যামল কুমার নাথ জানান, চলতি বছরের ১৫ এপ্রিল সর্বশেষ চাল আমদানি হয়েছিল। এর চার মাস পর বৃহস্পতিবার আবার আমদানি শুরু হয়েছে। এদিন আসা চালের নমুনা পরীক্ষা শেষে দ্রুত সনদ দেওয়া হবে।

বাজার বিশ্লেষকদের মতে, আমদানি প্রক্রিয়া স্বাভাবিকভাবে চলতে থাকলে আগামী সপ্তাহ থেকেই বাজারে চালের দামে দৃশ্যমান প্রভাব পড়তে পারে।

Share This News