তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনায় সুপ্রিম কোর্টে দ্বিতীয় দিনের শুনানি চলছে

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, পাঁচ বিশিষ্ট নাগরিক ও এক ব্যক্তির করা চারটি পৃথক আবেদনের ওপর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে দ্বিতীয় দিনের মতো শুনানি চলছে।

বুধবার সকালে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বিভাগে শুনানি শুরু হয়। শুনানিতে আবেদনকারীদের পক্ষে বক্তব্য উপস্থাপন করছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা প্রথমে ১৯৯৬ সালে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৯৯৮ সালে অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ কয়েকজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন। ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগ রিট খারিজ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাকে বৈধ ঘোষণা করে।

তবে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়। দীর্ঘ শুনানি শেষে ২০১১ সালের ১০ মে আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে ত্রয়োদশ সংশোধনীকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করে রায় দেন। এর পরবর্তী সময়ে ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস হয় পঞ্চদশ সংশোধনী, যা আনুষ্ঠানিকভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলোপ করে।

গত বছরের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর এ রায় পুনর্বিবেচনার দাবি নতুন করে ওঠে। সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজউদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া ও জাহরা রহমান মিলে পাঁচ বিশিষ্ট নাগরিক ২০২৪ সালের আগস্টে আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন।

এরপর একই বছরের ১৬ অক্টোবর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ২৩ অক্টোবর জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এবং নওগাঁর বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেন পৃথক আবেদন করেন।

বর্তমানে এসব আবেদন একত্রে শুনানি চলছে। শুনানির পরবর্তী কার্যক্রম নির্ধারণ করবে আপিল বিভাগ।

Share This News