সুদানে ভয়াবহ গণহত্যা: তিন দিনে দেড় হাজার মানুষ নিহত

দারফুরের এল-ফাশার শহরে চলছে এক ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়। সুদানের আধাসামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স (আরএসএফ) মাত্র তিন দিনে অন্তত দেড় হাজার বেসামরিক মানুষকে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে আলজাজিরা।

গত রোববার দীর্ঘ ১৭ মাস অবরোধের পর সেনাবাহিনীর কাছ থেকে শহরটি দখল করে নেয় আরএসএফ। এরপরই শুরু হয় নৃশংস হত্যাযজ্ঞ। পালিয়ে যেতে চাওয়া সাধারণ মানুষের ওপর নির্বিচারে হামলা চালায় সশস্ত্র গোষ্ঠীটি।

সুদান ডক্টর নেটওয়ার্ক বুধবার এই হত্যাকাণ্ডকে ‘সত্যিকারের গণহত্যা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। সংস্থাটি বলছে, বর্তমান পরিস্থিতি আসলে দেড় বছর আগের ঘটনারই ধারাবাহিকতা। তখন বোমাবর্ষণ, কৃত্রিম দুর্ভিক্ষ এবং বিচারবহির্ভূত হত্যার মাধ্যমে প্রায় ১৪ হাজার মানুষকে হত্যা করেছিল আরএসএফ।

এল-ফাশার ছিল পশ্চিম দারফুর অঞ্চলের শেষ শহর যেটি এখনও সুদানি সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে ছিল। শহরটি হারানোর মানে হলো পুরো অঞ্চলেই এখন আরএসএফের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেল।

২০২৩ সাল থেকে সুদানের সেনাবাহিনী এবং আরএসএফের মধ্যে চলমান গৃহযুদ্ধে এরই মধ্যে হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ।

সুদান সরকারের হিসাব অনুযায়ী, শুধুমাত্র রবিবার থেকে বুধবার—এই চার দিনে এল-ফাশারে দুই হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই গণহত্যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেও এখনও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

Source:(আলজাজিরা)