কুয়েটের দুই প্রকৌশলীকে হুমকি ও লাঞ্ছিত করার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ অফিসার্স এসোসিয়েশনের

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)’র দুই প্রকৌশলীকে মোবাইল ফোনে হুমকী প্রদান ও একজনকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কুয়েট অফিসার্স এসোসিয়েশন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বরাবর মঙ্গলবার(৪ মার্চ) এসোসিয়েশনের সভাপতি মোঃ মইনুল হক ও সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী বাদশা মোঃ হারুন স্বাক্ষরিত পত্রে উল্লেখ করেন সোহাগ নামক জনৈক ব্যক্তি (১৩ নং ভবনের ছাদের উপর ওয়াটার প্রুফিং কাজের সাথে সম্পৃক্ত) সংশ্লিষ্ট কাজের বিপরীতে দাবিকৃত অবৈধ সুবিধা প্রদান না করায় প্রথমে মোবাইল ফোনে এবং পরবর্তীতে ক্যাম্পাসের বাইরে ৩ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী শেখ আবু হায়াতকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় অফিসার্স এসোসিয়েশন গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক অফিসার্স এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির কাছে ২ টি দাবি উত্থাপন করা হয়।

১. বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বাদী হয়ে একটি ফৌজদারী মামলা দায়ের করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

২. ঘটনার সাথে জড়িত প্রধান ব্যক্তি মোল্লা সোহাগ হোসেনকে খুলনা প্রকৌশল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক ঠিকাদারি কাজসহ যাবতীয় কাজ থেকে বর্তমান ও ভবিষ্যতে বিরত রাখার প্রয়োজনীয় নির্দেশ প্রদান করতে হবে।

য‌দিও বিএনপি নেতা মোল্লা সোহাগ হোসেন নিজেকে নির্দোষ দা‌বি করে ষড়যন্ত্রের শিকার বলে উ‌ল্লেখ করে‌ছেন।কুয়েটের নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ আবু হায়াতকে লাঞ্ছিত করা প্রসঙ্গে মঙ্গলবার(৪ মার্চ) মোল্লা সোহাগ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, উনাকে লাঞ্ছিত করা হয়নি। সম্বার(৩ মার্চ) ওই প্রকৌশলীর সঙ্গে আমার দেখা হয়। সালাম বিনিময় হয়। উনি আমার সালামের উত্তর দেন। এরপর আমি উনার কাছে জানতে চাই যে, স্যার কুয়েটের কি অবস্থা এখন? উনি আমাকে বলেন, কুয়েটতো আপনারা উত্তপ্ত করেছেন। এরপর সাম্প্রতিক ছাত্র সংঘর্ষ নি‌য়ে আমি উনার সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়ি। এখা‌নে তা‌কে হুম‌কি বা লা‌ঞ্ছিত করা হয়‌নি।