শ্রম অধিদপ্তরের নিস্ত্রিয়তায় তামাক বিরোধী জোট এর উদ্বেগ

শ্রমিকদের মজুরী পরিশোধ না করে শ্রম আইন লঙ্ঘন করছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানি । আমরা উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে, কুষ্টিয়ায় শ্রমিকরা তাদের শ্রমের মজুরী পাচ্ছে না। বিএটি এর বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছেন প্রতিষ্ঠানটির শ্রমিকরা। ২২ দফা দাবিতে ২৩ এপ্রিল থেকে বিএটি লিফ ফ্যাক্টরির শতাধিক শ্রমিক বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। শ্রমিকদের বঞ্চিত করলেও প্রতি বছর বিএটি শ্রম মন্ত্রণালয়ের তহবিলে টাকা জমা দিয়ে ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছে এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচী (সিএসআর) এর আড়ালে নিজেদের অন্যায় কর্ম ঢাকার চেষ্টা করছে। আমরা দীর্ঘদিন বলার চেষ্টা করছি যে, বিএটি এর পরিচালনা বোর্ডে সরকারের উচ্চপদস্থ প্রতিনিধি থাকা এবং সিএসআর ফান্ডের টাকা দিয়ে নিজেদের প্রচারের প্রভাবের কারণেই তাদের এসকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে যথাযথভাবে আইনের প্রয়োগ করা হচ্ছে না। একদিকে শ্রমিক শোষন করছে অপরদিকে সিএসআর ফান্ডের টাকা দিয়ে তামাকের প্রচারণা। তামাক কোম্পানীগুলোর একধরনের কাজ একরকম প্রবঞ্চনা। আমরা বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করছি যে বঞ্চিত শ্রমিকদের আন্দোলনের পরও শ্রম মন্ত্রণালয় এবং শ্রম অধিদপ্তর কোন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। ইতিপূর্বে কুষ্টিয়ায় বিএটি দোকানের নামে অনুমোদন নিয়ে কারখানা চালিয়েছে। সেখানেও শ্রম মন্ত্রণালয় এবং শ্রম অধিদপ্তর ভূমিকা ছিলো নিস্ত্রিয়।

শ্রম অধিদপ্তরের নিস্ত্রিয়তায় বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট এর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট শ্রম মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহবান জানাচ্ছে, শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় অতি দ্রুত আইন অনুসারে পদক্ষেপ গ্রহণ এবং তামাক কোম্পানির সিএসআর কর্মসূচী নিষিদ্ধ করা হোক। পাশাপাশি যাতে সরকারী কর্মকর্তাদের প্রভাব ব্যবহার করে পুনরায় এধরনের কাজ না করতে পারে সেকারণে বিএটির পরিচালনা বোর্ড থেকে তামাক কোম্পানীর প্রতিনিধি প্রত্যাহারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।