আইসিটি জ্ঞানেই তরুণদের দক্ষ মানবসম্পদ গড়ার চাবিকাঠি

তরুণ প্রজন্মকে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করতে তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞান অর্জনের কোনো বিকল্প নেই। এমনটাই মনে করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
গাজীপুরের মৌচাক জাতীয় স্কাউট ট্রেনিং সেন্টারে গতকাল তৃতীয় জাতীয় আইসিটি স্কাউট জাম্বুরি ২০২৫-এর উদ্বোধন করতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
“আইসিটি স্কাউট জাম্বুরি শুধু স্কাউট আন্দোলনকেই শক্তিশালী করছে না, স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নেও তরুণদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সাহায্য করছে”, বলেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
স্কাউট আন্দোলনের সাথে তথ্যপ্রযুক্তির এই সমন্বয়কে তিনি ‘অনন্য উদ্যোগ’ হিসেবে আখ্যা দেন। তার মতে, এর ফলে তরুণরা বিশ্বমানের দক্ষ নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে পারবে।
আইসিটি বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়, খুব শিগগিরই দেশব্যাপী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) এবং তথ্যপ্রযুক্তি-ভিত্তিক দক্ষতা উন্নয়নের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শুরু হবে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, “এর মাধ্যমে একটি জ্ঞানভিত্তিক, প্রযুক্তি-সক্ষম এবং মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন তরুণ সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব হবে।”
তরুণদের উদ্দেশে তিনি আরো বলেন, “জ্ঞান, উদ্ভাবন, নেতৃত্ব ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে স্কাউটরা ভবিষ্যতের স্মার্ট বাংলাদেশের অন্যতম অগ্রদূত হয়ে উঠবে।”
এই তিন দিনের স্কাউট জাম্বুরি (১৯-২১ সেপ্টেম্বর) এবারের মূল স্লোগান ছিল ‘প্রযুক্তি হোক সেবার সহায়ক’। ইংরেজিতে যার অর্থ Let Technology Serve Humanity।
অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া স্কাউটদের জন্য বিশেষভাবে আয়োজন করা হয়েছে প্রযুক্তিনির্ভর প্রশিক্ষণ, নানা কর্মশালা আর উদ্ভাবনী প্রদর্শনী। মূলত তরুণ স্কাউটদের প্রযুক্তি ব্যবহারে আরো পারদর্শী করে তোলার উপরই জোর দেওয়া হয়েছে এবার।


অনুষ্ঠানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মিউজিয়াম বাসও ঘুরে দেখেন প্রধান অতিথি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন জাম্বুরির ক্যাম্প চিফ মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ, এডহক কমিটির সদস্য আবু সালেহ মো. মহিউদ্দিন খান এবং গাজীপুর জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও তথ্যপ্রযুক্তি) সোহেল রানা। এছাড়াও স্কাউট আন্দোলনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, প্রশিক্ষক, আইসিটি খাতের বিশেষজ্ঞরা এবং দেশের নানা জেলা থেকে আসা শতাধিক স্কাউট ও স্বেচ্ছাসেবকরা অংশ নেন।