দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টকে না সরালে বড় বিপদ হতে পারে বলে দাবি দলের প্রধানের!!

দক্ষিণ কোরিয়ার পিপল পাওয়ার পার্টির প্রধান হান ডং হুন স্থানীয় সময় আজ শুক্রবার বলেন, যদি দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে না সরানো হয় তাহলে দেশের জনগণ বড় বিপদে পড়বে।

এর ব্যাখ্যা দিয়ে হান ডং হুন আরও বলেন, যদি ইউন প্রেসিডেন্ট হিসেবে থেকে যান, তাহলে সামরিক আইন জারি করার মতো ঘটনা আরও ঘটতে পারে। আর এ ধরনের প্রচেষ্টা রিপাবলিক অব কোরিয়া ও এ দেশের জনগণকে বড় বিপদে ফেলবে।

দক্ষিণ কোরিয়ায় চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে দেশটির প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইউলকে অনুমোদনের প্রতি সমর্থন কমেছে। আজ গ্যালাপ কোরিয়ার নতুন জরিপ বলছে, তাঁর প্রতি সমর্থনের হার ১৩ শতাংশে পৌঁছেছে। এ সপ্তাহের শুরুতে তাঁর প্রতি সমর্থনের হার ছিল ১৬ শতাংশ।

হান ডং হুন টিভিতে প্রচারিত এক বক্তব্যে আরও বলেন, সামরিক আইন জারি করার রাতে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতাকে আটক করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এ বিষয়ে নির্ভরযোগ্য তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে। এ সপ্তাহে তিনি এই সামরিক আইন জারি করেন।

পিপল পাওয়ার পার্টির প্রধান জানান, প্রেসিডেন্ট ইওল গোয়েন্দা পুলিশের প্রধানকে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতাকে আটকের নির্দেশ দেন। রাষ্ট্রবিরোধী শক্তি হিসেবে চিহ্নিত করে তিনি তাঁদের আটক করার নির্দেশ দেন।

এদিকে বিরোধী জোট প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলকে অভিশংসন করতে আগামী শনিবার পার্লামেন্টে ভোটাভুটি করতে চায়। তবে দ্বিধাবিভক্ত ক্ষমতাসীন দল পিপল পাওয়ার পার্টি অভিশংসনের পক্ষে ভোট না দেওয়ার কথা জানিয়েছে।

দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিম ইয়ং-হিউন পদত্যাগ করেছেন। নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন সৌদি আরবে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত চোই বিয়াং-হিয়াক।

গত মঙ্গলবার রাতে সামরিক আইন জারির ঘটনায় বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে দক্ষিণ কোরিয়া। অভিশংসনের মুখে পড়েন প্রেসিডেন্ট ইউন। ছয়টি দল নিয়ে গঠিত বিরোধী দলগুলোর একটি জোট গত বুধবার প্রেসিডেন্টের অভিশংসন চেয়ে পার্লামেন্টে একটি প্রস্তাব জমা দিয়েছে।