বাস টার্মিনাল ধূমপানমুক্ত করতে শক্তিশালী আইন চায় শ্রমিক ইউনিয়ন

তামাকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে এবং দেশের বাস টার্মিনালগুলোকে ধূমপানমুক্ত রাখতে শক্তিশালী আইনের দাবি জানিয়েছে ঢাকা জিলা যানবাহন শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজি: নং-ঢা ৯৭৪)

সংগঠনের সভাপতি মোঃ আব্বাছ উদ্দিন বলেন, শুধুমাত্র আইন থাকলেই হবে না—এর সঠিক বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে। শ্রমিকদের মধ্যে ধূমপানের প্রবণতা বেশি, যা সাধারণ যাত্রীদের স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ফেলছে। বিশেষ করে টার্মিনালের ভেতরে বেআইনিভাবে তামাকজাত পণ্য বিক্রি হওয়ায় ধূমপান রোধ করা কঠিন হয়ে পড়ছে।

তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে এনজিও ডেভলপমেন্ট অ্যাকটিভিটিস অফ সোসাইটি (ডাস্) শ্রমিক ইউনিয়নের সঙ্গে কাজ করছে। এর অংশ হিসেবে সচেতনতামূলক কর্মসূচি, মাইকিং এবং ভিজিলেন্স টিম গঠন করা হয়েছে। এসব টিম নিয়মিতভাবে টার্মিনালে ধূমপান প্রতিরোধে কাজ করছে।

তবে টার্মিনালের অভ্যন্তরে দোকানগুলোতে সরকারি আইন উপেক্ষা করে তামাক বিক্রি করা হচ্ছে। ভ্রাম্যমাণ দোকান থেকে এক-দুই শলাকা সিগারেট সহজেই পাওয়া যায়, ফলে অনেক সময় বাসের ভেতরেও ধূমপান করা হচ্ছে।

আব্বাছ উদ্দিন বলেন,

“আমরা স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়েছি, কিন্তু যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। টার্মিনালকে সুস্থ, সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর রাখতে অবিলম্বে তামাকজাত পণ্য বিক্রয় বন্ধ করতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, গাবতলী বাস টার্মিনালে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা নানা কারণে তামাক আইন কার্যকর করতে পারে না। তাই সরকারের বিদ্যমান আইনের ফাঁকফোঁকড় বন্ধ করে অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করা জরুরি।

শ্রমিক ইউনিয়নের দাবি, সরকারের ঘোষিত ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাইলে বর্তমান আইনকে আরও শক্তিশালী করা প্রয়োজন। এর পাশাপাশি স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন, সিটি কর্পোরেশন এবং জনপ্রতিনিধিদের সক্রিয় অংশগ্রহণ জরুরি।

সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়, একটি শক্তিশালী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সঠিক বাস্তবায়নই পারে তামাকের ব্যবহার কমাতে এবং জনস্বাস্থ্য রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা রাখতে।