শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে অব্যাহতি পাওয়া শিক্ষানবিশ উপপরিদর্শকেরা (এসআই) চাকরি পুনর্বহালের দাবিতে সচিবালয়ের সামনে আমরণ অনশন কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে তাঁরা অনশনে বসেন। তাঁরা জানিয়েছেন, সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ইতিবাচক সাড়া না পাওয়ায় অনশন কর্মসূচি পালন করছেন।
শিক্ষানবিশ এসআইরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বেলা দুইটা পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে কেউ তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি।
অব্যাহতি পাওয়া শিক্ষানবিশ এসআইরা জানান, একই দাবিতে ৫ ও ৬ জানুয়ারি তাঁরা সচিবালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিবের আশ্বাসে ৬ জানুয়ারি অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত করেন। তখন দাবি মেনে নিতে ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিলেন তাঁরা। এ সময়ের মধ্যে দাবি মেনে না নেওয়ায় গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় তাঁরা সচিবালয়ের সামনে আবারও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে শিক্ষানবিশ এসআইরা আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেন। সন্ধ্যায় আন্দোলনকারীদের একটি প্রতিনিধিদল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিবের সঙ্গে দেখা করেন। তবে কোনো আশ্বাস না পেয়ে তাঁরা অনশন অব্যাহত রেখেছেন।
অব্যাহতি পাওয়া শিক্ষানবিশ এসআইদের একজন রবিউল ইসলাম বলেন, গতকাল সারা রাত তাঁরা সচিবালয়ের সামনে অবস্থান করেছেন। চাকরি পুনর্বহাল না করা পর্যন্ত তাঁরা কর্মসূচি অব্যাহত রাখবেন।
গত বছরের ২১ অক্টোবর রাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে ৪০তম এসআই ক্যাডেট ব্যাচের প্রশিক্ষণরত ২৫২ জনকে ও ৪ নভেম্বর একই ব্যাচের আরও ৫৮ জন ক্যাডেট এসআইকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এরপর আরও ১১ জন শিক্ষানবিশ এসআইকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে ৪০তম ক্যাডেট ব্যাচের শিক্ষানবিশ ৩২১ এসআইকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নাশতা না খেয়ে মাঠে হইচই করা এবং প্রশিক্ষণ চলাকালে অমনোযোগী থাকার অভিযোগ আনা হয়।
তবে অব্যাহতি পাওয়া শিক্ষানবিশ এসআইরা বলছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো সঠিক নয়। এভাবে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় তাঁদের সঙ্গে চরম বৈষম্য করা হয়েছে। এতে তাঁরা ও তাঁদের পরিবার অসহায় বোধ করছে। শিগগিরই তাঁরা এ অবস্থার প্রতিকার চান।
এদিকে ৪০তম ব্যাচের শিক্ষানবিশ এসআইরা প্রশিক্ষণ শেষে আজ র্যাঙ্ক ব্যাজ পেয়েছেন। বুধবার(১৫ জানুয়ারি) তাঁদের পাসিং আউট প্যারেড অনুষ্ঠিত হবে।