খুবিতে ২০ ব্যাচের শিক্ষা সমাপনী উপলক্ষ্যে আলোচনা অনুষ্ঠিত

#শিক্ষার্থীদের ঐক্য ধরে রেখে দেশ গড়ায় আত্মনিয়োগ করতে হবে : উপাচার্য

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ ব্যাচের তিন দিনব্যাপী শিক্ষা সমাপনী উৎসবের দ্বিতীয় দিনে ১৮ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২নং একাডেমিক ভবনের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ রেজাউল করিম।

তিনি বলেন, শিক্ষা সমাপনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের নতুন পথের যাত্রা শুরু হয়। ভবিষ্যৎ পেশাগত জীবনে প্রবেশের ধাপ এটি। চারটি বছর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ শেষে এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে একটি অধ্যায় আরেকটি অধ্যায়ে রূপান্তরিত হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের কর্মের মাধ্যমেই বিশ্ববিদ্যালয় পরিচিতি লাভ করে। তাই দেশ ও জাতির কল্যাণে নিয়োজিত হবে। কর্মের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে হবে। নিজেদের ঐক্য ধরে রেখে দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করতে হবে।

উপাচার্য খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রারম্ভিক পথচলা, জুলাই বিপ্লব পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলা ও তাঁর শিক্ষকতা জীবনের নানা স্মৃতি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করাই আমার প্রধান লক্ষ্য। তিনি শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটের নাম ‘শহিদ মীর মুগ্ধ তোরণ’ করা এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে সম্প্রসারণের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০ ব্যাচের শিক্ষাকোর্স সম্পন্নকারী শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ জীবনের সাফল্য কামনা করেন। পরে প্রধান অতিথি অনুষ্ঠানে বিদায়ী শিক্ষার্থীদেরকে হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ নূরুন্নবী। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় জীবন হচ্ছে নিজেকে গড়ে তোলার শ্রেষ্ঠ সময়। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের স্মৃতি সারাজীবন অম্লান থাকে। তিনি জুলাই বিপ্লবে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের গতিশীল নেতৃত্বের কথা তুলে ধরে ভবিষ্যতেও দেশের সংকটময় মুহূর্তে তারা অগ্রণী ভূমিকা রাখবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

আলোচনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তৃতা করেন ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ নাজমুস সাদাত। তিনি বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ইতিহাসের অংশ। জুলাই বিপ্লবে খুলনা অঞ্চলের নেতৃত্বদান করেছেন এ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। তারা দেখিয়েছে কিভাবে নিজেদের অধিকার আদায় করে নিতে হয়। শিক্ষাজীবন শেষে তারা নতুন এক অধ্যায়ে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। আমি আশা করি, সেখানেও তারা কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখতে সক্ষম হবে।

আয়োজক কমিটির সভাপতি আয়মান আহাদের সভাপতিত্বে সভায় স্বাগত বক্তৃতা করেন মোঃ মোহিদুর হাসান মঈন। শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে আরও বক্তৃতা করেন সাজ্জাদুল ইসলাম আজাদ, আফরোজা খাতুন নীলা ও এস এম শাহেদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আলম হাসান ও হিমানি দে।

এছাড়া শিক্ষা সমাপনী অনুষ্ঠানের তৃতীয় ও সমাপনী দিন আগামীকাল বুধবার মুক্তমঞ্চে কনসার্ট অনুষ্ঠিত হবে। কনসার্টে দেশসেরা ব্যান্ড ‘নগরবাউল জেমস’ এর পাশাপাশি ‘মেঘদল’, ও ‘ক্রিপটিক ফেইট’ পারফর্ম করবে।