নগরীর পানি নিস্কাশন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিদর্শন করেন কেসিসি প্রশাসক মো: ফিরোজ সরকার।

খুলনা সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মো: ফিরোজ সরকার নগরীর ৩১নং ওয়ার্ডসহ কয়েকটি ওয়ার্ড এলাকা পরিদর্শন করেন। মৌসুমের প্রথম অতিবৃষ্টির কারণে ৩১নং ওয়ার্ডের কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে মর্মে অভিযোগ পাওয়ার পর তিনি আজ মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিন পরিদর্শনে বের হন এবং জলাবদ্ধতার কারণসমূহ চিহ্নিত করে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্দেশ দেন।

খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ) কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন খুলনা শিপইয়ার্ড সড়ক প্রশস্থকরণ প্রকল্পের কাজের ধীরগতিসহ লবনচরা স্লুইস গেটের স্থানে ব্রীজ নির্মাণের লক্ষ্যে ক্ষেত্রখালী খালের মুখে নির্মিত বাঁধ, স্লুইস গেট নির্মাণের লক্ষ্যে মতিয়াখালী খালের মুখে নির্মিত বাঁধ, নিরালা ১নং রোডের মাথায় ময়ূর নদীর উপর নির্মিত বাঁধ এবং বাস্তুহারা-আড়ংঘাটা সড়ক নির্মাণের লক্ষ্যে বাস্তুহারা খাল ও দেয়ানা চৌধুরী খালে নির্মিত বাঁধের কারণে পানি নিস্কাশন বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছে। কেডিএ কর্তৃক এ সকল বাঁধসমূহে পানি নিস্কাশনের বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না রাখায় কেসিসি প্রশাসক অসন্তোষ প্রকাশ করেন এবং বাঁধসমূহে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা রাখার জন্য জরুরী ভিত্তিতে কেডিএ কর্তৃপক্ষ বরাবর পত্র প্রেরণের নির্দেশ দেন। উল্লেখ্য যে, কেডিএ কর্তৃক উপরোক্ত বাঁধসমূহ নির্মাণের কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে বলে এলাকাবাসী জানান।

কেসিসি’র প্রধান প্রকৌশলী মশিউজ্জামান খান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট কোহিনুর জাহান, নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ মো: মাসুদ করিম, কঞ্জারভেন্সী অফিসার অহিদুজ্জামান খান, ৩১নং ওয়ার্ডের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ হাফিজুর রহমানসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।