-ওয়াকাথন হতে আহবান
খবর বিজ্ঞপ্তিঃ তামাক ব্যবহারজনিত রোগের কারণে ৪২ হাজার কোটি টাকার বেশি চিকিৎসা খাতে ব্যয় হয়। তামাক নয়িন্ত্রণ আইন কঠোর হলে এই স্বাস্থ্য ব্যয় কমে আসবে এ জন্য উচ্চ কর আরোপ এবং কঠোর তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন জরুরী। তামাক নিয়ন্ত্রন কঠোর করতে পাবলিক প্লেস ও পরবিহনের অভ্যন্তরে ধূমপান নিষিদ্ধ করা, কিশোরদের আকৃষ্ট বন্ধে তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন সর্ম্পূণ বন্ধ করা, স্ট্যার্ডাড প্যাকেজিং নিশ্চিত করা জরুরী।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি ২০২৫) সকাল ৮টায় জাতীয় শহীদ মিনারকে সামনে সুস্থ্য থাকতে ধূমপান না করে নিয়মিত হাঁটার আহবান জানিয়ে এক ওয়াকাথন হতে এই আহবান করা হয়। বাংলাদশে নেটওর্য়াক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসি ও মানস- মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থা যৗেথভাবে ‘তামাক নিয়ন্ত্রন আইন রোগ এবং মৃত্যু কমায়’ র্শীষক এ ওয়াকাথানের আয়োজন করে।

র্কমসূচিটি জাতীয় শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে শাহবাগ হয়ে রমনা র্পার্কের অন্তাচল গেট (জাতীয় টেনিস কমপ্লক্সে সংলগ্ন) এ গিয়ে শেষ হয়। ওয়াকাথানের উদ্বোধন করেন মানস এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. অরূপ রতন চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে তামাকজনিত রোগে মৃত্যুর হার বাড়ছে ফলে তামাক নিয়ন্ত্রণে আরও কঠোর হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। একইসঙ্গে সচেতনতার অংশ হিসেবে বেশি বেশি হাঁটার পাশাপাশি শাকসবজিও গ্রহণ করতে হবে। অন্যদিকে তামাক কোম্পানিগুলো তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন কঠোর না করার জন্য নানাভাবে প্রচারণা চালাচ্ছে যা জনস্বাস্থের জন্য হুমকি। সরকারকে তামাকজাত দ্রব্যে সুনিদিষ্ট করারোপ সহ, এমআরপিতে সিগারেট বিক্রি নিশ্চিত করা এবং তামাক কোম্পানীর হস্তক্ষেপ বন্ধে র্কাযকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
তারা আরও বলেন, তামাক কোম্পানি র্বতমানে তরুণ প্রজন্মকে র্টার্গেট করে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করছে। তাদের লক্ষ্য সুস্থ-সবল জাতি গঠনে সরকারের অগ্রযাত্রাকে ব্যহত করা। তামাক কোম্পানীর ভয়ানক ব্যবসায়িক ফাঁদ থেকে আমাদের তরুণ প্রজন্মকে রক্ষা করতে হবে। একইসঙ্গে আইন ভঙ্গ করা বহুজাতিক তামাক কোম্পানীগুলোকে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন প্রত্যশা মাদক বিরোধী সংগঠনের জেনারেল সেক্রেটারী হেলাল আহমেদ, নীতি বিশ্লেষক সৈয়দ মাহবুবুল আলম তাহিন, বিএনটিটিপির সচিবালয় ব্যবস্থাপক হামিদুল ইসলাম হিল্লোল, সিটিএফকে এর কমিউনিকেশন ম্যানেজার হুমাইরা সুলতানা।
র্কমসূচীর সহ আয়ােজক হিসেবে এইড ফাউন্ডেশন, র্আক ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট (বাটা), ডেভেলপমেন্ট অ্যাকটভিটিসি অব সোসাইটি-ডাস, গ্রামবাংলা উন্নয়ন ফাউন্ডশেন, জাতীয় যক্ষা নিরোধ সংস্থা-নাটাব, প্রত্যাশা মাদক বিরোধী সংগঠন, টোব্যাকো কন্ট্রোল এন্ড রিসার্স সেল ( টিসিআরসি) ও ডাব্লউিবিবি ট্রাস্ট এর শতাধিক কিশোর-তরুণ, তামাক নিয়ন্ত্রণ র্কমী ও অভিভাবকগণ অংশগ্রহণ করেন।