বাড়িভাড়া ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে আজ সোমবার থেকে সারাদেশের সব এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। এর ফলে দেশজুড়ে হাজারো স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থীরা ক্লাস থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
গতকাল রবিবার বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে এই কর্মবিরতির ঘোষণা দেন এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজিজী। তিনি বলেন, মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া ভাতা এবং পুলিশের বলপ্রয়োগের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতেই এই কর্মসূচি।
রাজপথে উত্তেজনা
গতকাল দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। শিক্ষক ও পুলিশের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করলে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
পরে সংগঠনের নেতাদের আহ্বানে শিক্ষকরা প্রেসক্লাব এলাকা থেকে সরে এসে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমবেত হন। সেখান থেকেই তারা লাগাতার আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
শিক্ষকদের ক্ষোভের কারণ
গত ১৩ আগস্ট জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সমাবেশে শিক্ষা উপদেষ্টা শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে তিনি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ভাতা, চিকিৎসা ভাতা এবং কর্মচারীদের উৎসব ভাতা বৃদ্ধির আশ্বাস দিয়েছিলেন।
কিন্তু গত ৫ অক্টোবর, শিক্ষক দিবসেই অর্থ মন্ত্রণালয় মাত্র ৫০০ টাকা বাড়িভাড়া ভাতা বৃদ্ধির প্রজ্ঞাপন জারি করে। এই সিদ্ধান্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের জন্ম দেয়। তারা বলছেন, এই সামান্য বৃদ্ধি তাদের প্রত্যাশার সঙ্গে একেবারেই সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
শিক্ষকরা জানান, বর্তমান মূল্যস্ফীতির বাজারে মাত্র ৫০০ টাকা বৃদ্ধি দিয়ে তাদের বাড়িভাড়া মেটানো একেবারেই অসম্ভব। তাই তারা মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে অটল রয়েছেন।
কর্মবিরতির কারণে আজ সারাদেশে লাখো শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। শিক্ষকরা জানিয়েছেন, তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে।